প্রকাশিত: ১৮/০৬/২০১৬ ৭:৫৭ এএম

91a576c4b4fa566d67aefbd56ad3e7d9-574c49244254cনুরুল আমিন হেলালী::
মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পর্যটন শহরের প্রধান সড়কসহ প্রায় সব অলিগলির ফুটপাত জুড়ে গড়ে উঠেছে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের ভাসমান দোকান। অবৈধভাবে ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। চলাচলে বিব্রতবোধ করছেন নারীক্রেতা ও স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্রীরা। অন্যদিকে ফুটপাত দখল করে দোকান বসায় সড়ক সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ার কারনে মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে যানজট। ফলে যানজট নিরসনে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের। গতকাল শহরের বিভিন্ন অলি-গলি ঘুরে দেখা যায় ফুটপাত জুড়ে অস্থায়ী সামিয়ানা টাঙিয়ে অনেকগুলো ছোট ছোট দোকান তৈরি করে দেদারছে বিক্রি করছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। এগুলোতে বিক্রি হচ্ছে লুঙ্গি, গামছা, শার্ট, চমশা, বেল্ট, জুতা, সেন্ডেল, শিশুদের বাহরী ডিজাইনের পোশাক, কেমিক্যাল মিশ্রিত আম, ফরমালিনযুক্ত মাছ সহ নানারকম পণ্য। পথচারীদের চলাচলের ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় তারা হাঁটাচলা করছিলেন অনেকটা সড়কের উপর দিয়ে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এছাড়া প্রধান সড়কসহ, হাসপাতাল রোড়, খানকাহ জামে মসজিদ রোড়, ফায়ার সার্ভিসের সামনে ও কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ রোড় সংলগ্ন রাস্তার দূ-পাশে নিয়মিত পঁচা মাছ ও তরিতরকারি বিক্রি করায় দূর্গন্ধে নাকে রুমাল দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে পথচারীদের। এভাবে রাস্তার উপর বসে ব্যবসা করার অনুমতি কারা দিয়েছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, কিছু অসাধু পুলিশ সদস্যদের দৈনিক ৫০ থেকে ১০০ টাকা দিয়ে ফুটপাতে ব্যবসা করেন তারা। শহরের সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেট, ফজল মার্কেট, পান বাজার রোড, এ.ছালাম মার্কেটের সামনের সড়ক, কোর্ট বিল্ডিং চত্বর, হাসপাতাল রোড়, কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ রোড়, গোলদিঘির পাড়, বাহার ছড়া, বড়বাজার, খানকাহ জামে মসজিদ রোড়, বাজারঘাটা, লাল দিঘীর পাড় সহ বিভিন্ন বিপনী বিতানের সামনের পুরোটা ফুটপাত এসব ভাসমান হকারদের দখলে। এসমস্ত এলাকায় ফুটপাত সংলগ্ন সড়ক ও দখল হয়ে গেছে অনেকাংশে। এছাড়া বেশ হয়েকজন হকার বলেন, তাঁরা এলাকার বিভিন্ন বিপনী বিতানের পাশের জায়গায় বসার জন্য দোকান মালিককে টাকা দিয়ে থাকেন। পান বাজার রোডের হকার কলিম উলাহ বলেন, আমাদের বহু কষ্টে ব্যবসা করতে হয়। ঈদের বাড়তি চাহিদা থাকার কারণে আমরা আমাদের ব্যবসা প্রসার ঘটায়। অনেক সময় পুলিশকে ঠিকমত টাকা দিতে না পারলে আবার তাদের ধাওয়া খেতে হয়। এ ব্যাপারে রাস্তার যানজট নিরসনে দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হকারদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথাটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এছাড়া ঈদুল ফিতরের আগ পর্যন্ত শহরবাসী ও যানবাহনের স্বাচ্ছন্দে চলাচলের জন্য ইতিমধ্যেই আমরা বিভিন্ন সড়ক হকার মুক্ত করেছি। অন্যদিকে শহরের রাস্তায় অবৈধ টমটম বেড়ে যাওয়ায় যানযট বেড়ে চলেছে বলে জানান পৌরবাসী। তবে হকারদের জীবন জীবিকার কথা বিবেচনা করে তাদের পুনবার্সনের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

পাঠকের মতামত

অপহরণের পর মুক্তিপণের জন্য বাবাকে শোনানো হচ্ছে নির্যাতনের আর্তনাদ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থেকে কক্সবাজার আসার পথে অপহৃত তরুণ রিয়াজুল হাসানকে (১৮) ধারাবাহিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। ...

ফেসবুকে শাহজালাল বাবলুর স্ট্যাটাস নিয়ে , ডাঃ রুমির বক্তব্য ও তীব্র প্রতিবাদ

শাহজালাল বাবলুর স্ত্রী শারমিন হিমু কয়েক মাস ধরে স্বনামধন্য গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আরিফা মেহের রুমির ...